মেহেরপুরের গাংনীর পৌর এলাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম মালসাদহ গ্রামে নুরুন্নাহার (৪৫) নামের এক নারী তার জমির হিস্যা বুঝে পেতে সহোদর ভাই জয়নাল এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার জমির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাওয়াসহ তার সহোদর ভাই জয়নাল এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নুরুন্নাহার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের বজলুল হকের স্ত্রী ও মরহুম আব্দুস সাত্তার শেখ এর মেয়ে।
নুরুন্নাহার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মা জোহরা খাতুন, এক ভাই জয়নাল ও এক বোন নুরুন্নাহারকে রেখে তার পিতা মারা যায়। ৪৬ নং চৌগাছা মৌজায় ৮৬৪ খতিয়ানে ১৮১৫ দাগে ২৭ শতক জমি রেখে পিতা মারা যান তিনি। পিতা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর মায়ের কাছ থেকে মায়ের অংশ মোতাবেক ৩ শতক জমি নুরুন্নাহার ক্রয় করেন। কিন্তু ওয়ারিশ অনুযায়ী পিতার জমির অংশ বা হিস্যা সহোদর ভাই জয়নাল নুরুন্নাহারকে দিতে চায় না। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে চার বার ও একবার গাংনী থানায় সালিশ বৈঠক বসে তাকে ১১ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমি দখল দেয়। গত ২৬ মার্চ তারিখে বিকেলে হঠাৎ করে জয়নাল নুরুন্নাহারের ছেলে জাহিদ হাসানকে জমি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। নুরুন্নাহার প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে নুরুন্নাহারের মাথার চুল হাতে পেচিয়েঁ নিয়ে বেধড়ক মারধর করে জয়নাল। এ সময় জাহিদ বাধা দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ ও লোহার শাবল দিয়ে জাহিদ হাসানকে মারার জন্য উদ্যত হয় জয়নাল। এসময় জাহিদ প্রাণ বাঁচাতে ধাক্কা দিলে জয়নাল পড়ে গিয়ে পাশে প্রাচীরের আঘাতে তার মাথা কিছুটা কেটে যায়। এ ঘটনায় জয়নাল গাংনী থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
নুরুন্নাহার সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, তিনি তার মায়ের কাছ থেকে ক্রয় করা জমিসহ পিতার জমির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে চান। জয়নাল তাকে জমি থেকে উচ্ছেদ ও মেরে ফেলার জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন নুরুন্নাহার।