স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেছে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামে। গৃহবধূ কসবা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। একই গ্রামের মহিবুল ইসলামের ছেলে রাজু (৩০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৩ বছর আগে বিয়েও হয়।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ অভিযোগ তুলে জানান, গোপনে বিয়ে করার কারণে রাজু’র পরিবার তাকে মেনে নেয়নি। ফলে রাজু আমার পিতার বাড়িতে অবস্থান করে ঘর সংসার করে আসছিল। বিয়ের ৮ মাস পর অন্তঃসত্ত্বা হলে অনাগত সন্তানকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য রাজু চাপ দেয়। এক পর্যায়ে অনাগত সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য হয় ওই গৃহবধূ। সন্তান নষ্টের ১৫ দিন পর রাজু বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করে। বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার পর রাজুর পিতা নিজের বাড়িতে স্থান দেয় রাজুকে। তার কিছুদিন পর রাজু তার দোষ স্বীকার করে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর শর্তে আবারো ওই গৃহবধূকে নতুন করে বিয়ে করে। সংসার চলাবস্থায় আবারো অন্তঃসত্ত্বা হলে তার অনাগত সন্তানকে নষ্ট করতে বাধ্য করে আবারো বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করে। কয়েক মাস পর ওই স্ত্রীকে আবারো নিতে চাইলে সে আসতে নারাজ সাফ জানিয়ে দেয় রাজুকে। ওই স্ত্রী রাজুর সাথে সংসার না করলে রাজু আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় পুনরায় বিয়ে হয় উভয়ের মধ্যে। সংসার চলাবস্থায় আবারো অন্তঃসত্ত্বা হয় স্ত্রী। তাকে সন্তান নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে ওঠে রাজু। সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার (২৮ জুলাই ২০২১ ইং) দুপুরে রাজুর অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং ভর্তি রাখেন। সেখানে তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় পরে স্থানীয় মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নেয়। কিছুটা সুস্থ হলে রোববার (০১/০৮/২০২১ ইং) গাংনী থানায় স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ।
এ ঘটনায় গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।