মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ভ (ভিটাপাড়া)’র রেজাউল হক (খোকন) হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৯ জানুয়ারী) দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- গাংনী থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদ সেন্টার পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে রিপন ওরফে রবিনহুড , গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া মাইলমারি গ্রামের নয়ন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার, হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গাংনী পল্লী বিদ্যৎ সাবষ্টেশন পাড়ার আজগর কসাইয়ের ছেলে
আব্দুল কাদের, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে হোসেন আলী ওরফে পিচ্চি হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার গাংনী ভিটাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল হক (খোকন) তার নতুন ইটভাটার কাজ শুরু করার জন্য মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাতের বাড়ি ফিরতে দেরী হয় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তৎকালীন কমিশনের আলী আজগরের ইটভাটা থেকে ৩শ’গজ দূরে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ এবং পরদিন তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে ১২ আসামির মধ্যে ৪ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনীর র্যাব-৬ এর এস আই বাবুল মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) ৬ জনকে বেকসুর খালাস ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজি শহিদুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম এবং রমজান আলী কৌশলী ছিলেন।