গাংনীর ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের অর্থবাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউপির অন্তর্গত ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন মেম্বরের দুর্নীতি ও অর্থবাণিজ্যর বিরুদ্ধে সম্মেলন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ। বুধবার বেলা ১১ টার সময় ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরে অভিযুক্ত সভাপতির বিচার ও শাস্তির দাবি করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে তিনি শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে নানা বিষয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেটস্থ করেছে। এমনকি শিক্ষকদের সম্মানহানি করে জোরপূর্বক টাকা আদায় করেছে। জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীম হাসান (নিয়োগ ২০০৩ সাল) ,সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হাসান (নিয়োগ ২০০২ সাল),সহকারী শিক্ষক আব্দুল মোনেম (নিয়োগ ২০০৩ সাল), ইকবাল হোসেন নিয়োগ ২০১৪ সাল ) এবং সহকারী শিক্ষিকা লাইব্রেরিয়ান হোসনেআরা (নিয়োগ ২০১৩ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা দীর্ঘদিন পর এমপিওভুক্ত হলে তাদের প্রথ বেতন বিল উত্তোলনের সময় জোরপূর্বক জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে বেতন বিলে স্বাক্ষর দিয়েছে। এ ছাড়াও স্কুলের নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দানে মো. বৃটেনএর নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা, অফিস সহায়ক নিয়োগ কালে তুহিন হোসেনের নিকট থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং আয়া নিয়োগদান কালে ফাতেমা খাতুনের নিকট থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আদায় করে আত্মসাত করেছে। একইভাবে বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক হুসাইন আলী, সহকারী শিক্ষক তৌহিদুল ইসলম, সহকারী শিক্ষিকা মমতাজ পারভীন, সহকারী শিক্ষক বাবুল হোসেনের উচ্চতর স্কেল পরিবর্তন (অর্থ্যাৎ ১৬০০০ হাজার টাকা থেকে ২২০০০ টাকা) সুপারিশ করার জন্য তিনি জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করে পকেটস্থ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সকল শিক্ষক কর্মচারী খোলামেলাভাবে টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষকরা বলেন আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। নইলে আমাদের বেতন ভাতায় স্বাক্ষর হতো না। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন আরও জানান, বিগত ২ বছর যাবৎকাল সভাপতি কোন শিক্ষকের সম্মান রাখেনি। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সময় ঠিকাদারের যোগসাজশে ২০ মন রড সভাপতি ইলিয়াস হোসেন তার বাড়ীতে নিয়ে ঘরের ছাদ ঢালাই করেছে। গ্রামের লোক সবাই জানে।ক্ষমতায় থাকার কারনে আমরা তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তার মেয়াদের আর মাত্র ২ দিন বাকী রয়েছে তাই এক্ষণে ব্যবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলন করছি।
করোনা পরিস্থিতির কারনে কমিটি গঠন হয়নি তবে এ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। ইলিয়াসের ভয়ে সেসময় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বর্তমান মেম্বর আনারুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বর ফারুক হোসেন, সাবেক সভাপতি সাবদার আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেকসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ।
প্রধান শিক্ষক জানান,এমনিভাবে সে স্কুলের সম্পদ গ্রাস করেছে। আমরা এই দুর্ণীতিবাজ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।