মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে ক্ষমতার দাপট দেখাতে টুটুলের লোকজন অতর্কীত হামলা করে দু’জনকে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সাহারবাটি মধ্যপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন- সাহারবাটি মধ্যপাড়ার ইসলাম হোসেনের ছেলে সুজন (২৮) ও একই পাড়ার দাউদ হোসেনের ছেলে চা-ব্যবসায়ী আমানুর রহমান (৪০)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে।
সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন জানান, আহত সুজন তার সহোদর ভাই। সে গ্রামের আমানুর রহমানের চায়ের দোকানে বসেছিল। এমন সময় সাহারবাটি বাজার পাড়ার শফিকুল ইসলাম ওরফে শফি’র ছেলে টুটুল একই পাড়ার আঃ কুদ্দুসের ছেলে আসমাউল হক, রফিকুল ইসলাম ওরফে রফি’র ছেলে দুলালসহ একটি সংঘবদ্ধদল সুজনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কীত হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। এসময় চায়ের দোকানদার আমানুর তাকে ঠেকাতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ী মারধর করে আহত করে। স্থানীয়রা আহত সুজনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আহত আমানুর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে সুমন এ হামলার কারণ হিসেবে টুটুলের পেশীশক্তি, রাজনৈতিক দাপট ও ক্ষমতা বেশী এটা প্রদর্শন করার হীন চেষ্টাকে দায়ী করেছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে টুটুল জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবে সুজন তার দলের লোকজনকে উস্কানিমুলক কথাবার্তা বলেছে তাই তার লোকজন সুজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, সমাজের শান্তি শৃংখলা নষ্ট হোক এমন কোন কার্যকলাপ তিনি পছন্দ করেন না। তবে তার লোকজন যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা অনাকাংখিত ঘটনা বলে জানান তিনি।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, সাহারবাটি গ্রামে হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।