ঘটনার মাত্র এক দিনের মধ্যে নৃশংস, চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে সুযোগ্য পুলিশ সুপার রাফিউেল আলম, অতিঃ পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সরোয়ারসহ থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় সদর থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলাম আসামি লিটন (৩৫) কে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। সোমবার (১০ জানুয়ারী) সদর থানা পুলিশ সূত্রে এ ঘটনা জানা যায়। আটককৃত লিটন আলী সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে। বর্তমানে হরিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। আসামীর দেখানো ও স্বীকারোক্তীমতে হত্যার কাজে ব্যাবহৃত রক্তমাখা গাছের শুকনা শিকড়যুক্ত ডাল, নিহত তোফাজ্জেল হোসেনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া টাকা ও মোবাইল ফোনসহ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য আলামত উদ্ধারসহ জব্দ করা হয়। আসামী লিটন বিজ্ঞ আদালেত দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রোববার (৯ জানুয়ারী) দিবাগত রাতের কোন এক সময় মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের মৃত বকসো বিশ্বাসের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৫০) নামের এক ছাগল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ঐ গ্রামের উত্তরপাড়ার আব্দুল করিমের লিচু বাগানের পাশে জনৈক রানা নামের এক ব্যক্তির সদ্য চাষ করা জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই তোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৮, পেনাল কোড ধারা ৩০২/৩৪। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানায় সদ্য যোগদানকৃত ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম। তিনি এ মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পেশাগত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সুযোগ্য পুলিশ সুপার রাফিউেল আলম, অতিঃ পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সরোয়ারসহ থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের উপস্থিতি ও সহযোগিতায় মাত্র এক দিনের মধ্যে কোন নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে হয়রানী ছাড়াই সততা, নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার নিরিখে সম্পূর্ণ ক্লু-লেস মামলাটির রহস্য উৎঘাটন, আসামী গ্রেফতার এবং আলামত উদ্ধার ও আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়াই এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ইতোপূর্বে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন, জনগনের সাথে সদ্ব্যবহার, মাদক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন, গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস মামলার রহস্য উৎঘাটন, বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় জনগনের কাছে প্রশংসিত ও পুলিশ বাহিনীতে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সে কারণে তিনি আইজিপি পদকে (গুড সার্ভিস ব্যাজ) ভূষিত হয়েছেন। তার এ সাফল্যে মেহেরপুর জেলাবাসী অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।