লকডাউন এর প্রথম দিনেই গাংনী বাজারে
বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। গাংনী বাজারের কাজল বস্ত্রালয়ের কর্মচারী হুদা জানান, এক সপ্তাহের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউনে থাকলে দোকান মালিক কর্মচারীদের বেতন দিবে না। আবার সরকারি কোন খাদ্য সহায়তা আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। তাহলে আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনধারন কিভাবে সম্ভব? একই কথা জানিয়েছেন মহিমা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী রিপন।
তবে ব্যবসায়ী কাজল বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী কাজল হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গাংনীতে লকডাউন থাকায় গত ঈদে ব্যবসা করতে পারি নাই। আবার একই ঘটনা ঘটছে এ বছর। তাই আমরা ব্যবসায়ীরাও অনেক ধার-দেনায় মধ্যে পড়ে রয়েছি। তাছাড়া এক মাস বা 15 দিন পূর্বে লকডাউন এর বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারলে তারা অনেকাংশেই নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখতে পারত লকডাউন মোকাবেলায়। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় সেটাও সম্ভব হয়নি। ফলে ব্যবসায়ী মালিকরাও কর্মচারীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। কর্মচারীদের এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুল হক স্বপন জানান, কর্মচারীদের বিক্ষোভের যুক্তিকতা রয়েছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এর একটি সুষ্ঠু সমাধানের মতামত ব্যক্ত করেন। সেই সাথে তিনিও সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিক্ষোভের সংবাদে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী ব্যবসায়ী মালিক ও কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান দিবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, প্রয়োজনে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তিনি ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সরকারি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চলাচল করার অনুরোধ জানান।