মেহেরপুরের গাংনীতে বিস্ফোরক মামলায় আবারো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- চেংগাড়া গ্রামের নঈমদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম, তেরাইল গ্রামের মৃত জবেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে নওশাদ আলী এবং এলাঙ্গী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে বজলু।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গাংনী পৌর এলাকার উত্তরপাড়াস্থ পরিত্যক্ত মৎস্য খামারের মধ্যে দুটি বোমার বিস্ফোরন ও ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান শিপু বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিম্ফোরক আইনে একটি মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে গাংনী থানা পুলিশের এসআই মাসুদ এর নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে ওই মামলায় উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম, তেরাইল গ্রামের নওশাদ আলী ও এলাঙ্গী গ্রামের বজলুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন জানান, যখন বিএনপি’র কোন কর্মসূচি থাকে তখন মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করা হয়। এ মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তিনি আরো বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এ নাশকতার একই মামলায় এতোপূর্বে গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ও পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলামকে, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে, যুবদলের সাবেক নেতা বেলাল হোসেন ওরফে বেলুসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..