শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন

গাংনীতে গৃহবধূ আত্মহত্যা ঘটনা নিয়ে নানা গুঞ্জন

তোফায়েল হোসেন
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪১১ বার পঠিত

গাংনী অফিসঃ মেহেরপুরের গাংনীর কসবা গ্রামে শিখা খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। স্বামী ও শশুর পক্ষের লোকজন দ্বাবী করেছেন শিখা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্ম হত্যা করেছে। তবে শিখার ভাবী নাসিমা খাতুন দাবী করেছেন শিখাকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে শিখার স্বামীর পরিবারের লোকজন।

শিখা মেহেরপুর সদরের বাজিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
শিখার বড়ভাবী নাসিমা খাতুন জানান, কসবা গ্রামের ইমাদুলের ছেলে জুয়েলের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক করে ১০ মাস আগে শিখার বিয়ে হয়। সেসময় যৌতুক হিসেবে দেয়া হয় দুলাখ টাকা। এর পরেও শশুর শাশুড়ি কুনজরে দেখতো শিখাকে। মাঝে মাঝে শারিরীক নির্যাতন করা হতো তাকে। সম্প্রতি আবারো যৌতুকের জন্য চাপ দেয়া হয় শিখাকে। এ দাবী মেনে নিয়ে পিতার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে তুলে দেয় স্বামি জুয়েলের হাতে। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা কমেনি শিখার উপর থেকে। অবশেষে শনিবার সকালে খবর দেয়া হয় শিখা ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটি নিছক ষড়যন্ত্র। শিখিাকে গলা টিপে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুয়েলের প্রতিবেশিরা জানান, সকালে জুয়েলের বাড়ির লোকজন জানায় শিখা গলায় ফাঁস লাগিয়েছে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে তারা এগিয়ে এসে শিখাকে জিবিত দেখতে পান । এর কিছুক্ষণ পর শিখা মারা যায়। এর পরপরই স্বামী সহ বাড়ির সকলেই পালিয়ে যায়। তবে শিখার উপর নির্যাতনের বর্ননাও দেন তারা।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে। মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে জুয়েল আরো ২ টি বিয়ে করে। নির্যাতনের কারণে তারাও জুয়েলকে তালাক প্রদান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 gangnisongbad.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
ThemesBazar-Jowfhowo