মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম (৫০) নামে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ৭ ও ৮ নম্বর দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সিপিসি-৩ র্যাব-১২ এর সদস্যরা। রোববার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানাধীন বড়গাংদিয়া গ্রাম ও খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের সাইদুর আরেফিন (আসামীর শশুর) এর বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মহিবুল হকের ছেলে সাহাবুর রহমান মিন্টু (৪০) ও তার আপন সহোদর ভাই শাহা আলম ওল্টু (২৮)।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কমান্ডার, মোঃ এনামুল হক মেহেরপুর সিপিসি-৩ র্যাব-১২
সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে বারোটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন বাওট গ্রামে নাহারুল ইসলাম (৫০) এর সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের দীর্ঘদিন যাবত সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই সূত্র ধরে গত ০৬/০৮/২৪ খ্রিঃ রাত ৯টার দিকে এজাহারনামীয় আসামীগণ নাহারুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং নিহতের দুই ছেলের হাত কুপিয়ে জখম করে।
এ হামলা ও হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে বাওট গ্রামের মাওলা বক্সের ছেলে আব্দুল হামিদকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৮ তারিখঃ ০৭/০৮/২০২৪ ইং
এ ঘটনায় মেহেরপুর জেলায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনার পর হতে র্যাব এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা নজরদারীসহ গ্রেফতারের কাজ শুরু করেন। যার ফলশ্রুতিতে রোববার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে এএসপি এনামুল হক এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন বড়গাংদিয়া ও খুলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের সাইদুর আরেফিন (আসামীর শশুর) এর বসতবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ৭ ও ৮ নাম্বার আসামী সাহাবুর রহমান মিন্টু ও শাহা আলম ওল্টুকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।