আসন্ন গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদ প্রার্থীরা অব্যাহতভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা বাড়ী-বাড়ী গিয়ে দোয়া চাচ্ছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। সেই সাথে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ কে হচ্ছেন পৌর পিতা। তবে এ পর্যন্ত বিরোধী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে ভোটারদেরকে হুমকি ধামকি দেয়ার কোন অভিযোগ না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার দলীয় লোক জনের বিরুদ্ধে না অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সরকার ও বিরোধী দল বিএনপি’র প্রার্থী।
আগামী ১৬ জানুয়ারী দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে গাংনী পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র ও ৪০ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১০ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। প্রচার-প্রচারণা চলছে অবিরাম। এ পর্যন্ত কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা হুমকি ধামকির খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন তার কর্মীদেরকে ভোটের প্রচারণায় বাঁধা দেয়া হচ্ছে ও প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়েছে। গত সোমবারে সাংবাদিকদের সাধে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এদিকে সরকার দলীয় মেয়র পদ প্রার্থী আহম্মেদ আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কোন কর্মী বা তার সমর্থকরা কারো হুমকি প্রদান করেনি। এমনকি প্রচার মাইকও ভাংচুর করা হয়নি। আশরাফুল ইসলাম ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছেন। একই কথা জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী বাজারে গণসংযোগকালে তিনি জানান, এ পর্যন্ত তিনি কোন বাঁধার সম্মুখিন হননি। তার সমর্থিত কোন ভোটারকেও কেন্দ্রে আসার জন্য বারণ করেনি সরকার দলীয় লোকজন। চলমান পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
গাংনী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি জানান, আইন শৃংখলা যদি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা এবং অরাজকতা সৃষ্টির তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটারদের ভোট দানের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।