মেহেরপুর সার্কেল অফিসের ইন্সপেক্টর (নিঃ) সাজেদুল ইসলাম পাচ্ছেন “বি” ক্যাটাগরিতে পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার আইজিপি ব্যাজ।বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
পেশাগত কাজে একাগ্রতা, সততা, দক্ষতা ও দূরদর্শিতার সাথে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ব্যবহারে অপরাধ কমাতে নিরলস ভাবে কাজ করে পুলিশ বিভাগে যে সকল কর্মকর্তা ও সদস্যরা প্রশংসিত হয়েছেন তাদের ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশের ৪০১ কর্মকর্তা ও সদস্যরা পাচ্ছেন ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজিপি ব্যাজ)। পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ পুরস্কার এবারের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে দেওয়া হবে।
তথ্য মতে, আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে পুলিশ সপ্তাহের শেষদিন ছয়টি বিশেষ ক্যাটাগরিতে মনোনীতদের এ পুরস্কার প্রদান করবেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
উল্লেখ্য, ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলাম ইতোপূর্বে গাংনী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। গাংনীতে চাকুরীরত কালীন সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি খুনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ জনগণকে হয়রানি না করে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনে সোপর্দ করায় পুলিশ বিভাগ ও এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন বারবার।
মেহেরপুরের গাংনীতে সিটি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট খাদেমুল ইসলামের খুনের রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের সোপর্দসহ
গাংনী থানায় যোগদানের শুরু থেকেই থানায় আগত প্রতিটা সেবা প্রত্যাশীদের আকাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানসহ চমৎকার ব্যবহারের জন্য গাংনী থানাবাসির জনগণের মন জয় করে নিয়েছেন। সেকারণে তিনি সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন বারবার।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে মহিষাখোলা গ্রামে আলোচিত আফরোজা হত্যা মামলা যার নং- ২০, ধর্মচাকী গ্রামের ওমর আলী হত্যা মামলা যার নং-০১, তারিখ ০১/০৪/২০২০ ইং, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের আলোচিত চম্পা হত্যার মামলা যার নং- ১১, তারিখ ১৫/০৪/২০২০ ইং, সাহেবনগর গ্রামের লিচুবাগান দখলকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার যার মামলা নং- ১৬ ও ১৭ তারিখ ১৭/০৫/২০২০ ইং ফলে এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে এবং একজন সৎ ও যোগ্য পুলিশ অফিসার হিসাবে মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন একাধিকবার।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি দমন ও পুরাতন মটমুড়া গ্রামে আলোচিত ১৯৫টি গাঁজা গাছ, বালিয়াঘাটে ২টি ও রায়পুর গ্রামে ৭টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা, করোনা পরিস্থিতিতে নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে এলাকায় ও পুলিশ ডিপার্টমেন্টে প্রশংসিত হয়েছেন।
পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার (আইজিপি ব্যাজ) পাওয়ায় এলাকাবাসী ইন্সপেক্টর সাজেদুল ইসলামকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।