বুধবার দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয় চত্ত্বরে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় গাংনী প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মিথ্যাচার করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস লালন করে না, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস দমন করে। আমার সাথে নির্বাচনী কাজে সার্বক্ষণিক রয়েছেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকসহ নেতৃবৃন্দ। অথচ আশরাফুলের সাথে যারা রয়েছে তার কেউ আওয়ামী লীগ করে না। তারাই ত্রাস কায়েম করতে চাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সজাগ নজর রাখতে হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী দলের লোক দাবি করে দলকে বিভ্রান্ত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সে আমাদের চরিত্রকে হনন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আশরাফুলকে এ সমাজের মানুষ সবাই চেনে। তাই এ বিষয়ে আরও সতর্ক হয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি।
বক্তৃতায় সাবেক এমপি মকবুল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে রয়েছে নির্বাচনী মাঠে। অথচ মিথ্যা তথ্য দিয়ে আশরাফুল ইসলাম নির্বাচনী কাজে কালিমা লেপন করছে। সেটা সত্যি সেটা লেখনির মাধ্যমে জনগণকে জানানোর জন্য সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘণের বিভিন্ন সংবাদ আমরা পত্রিকায় দেখছি। কিন্তু আচরণবিধি লঙ্ঘণের একটি বড় জায়গা হচ্ছে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার। যা নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশকে বাধাগ্রস্থ করে। রায়কে প্রভাবিত করে। যেটি আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা জনগণের সামনে তুলে আনছেন না। এটি যাচাই করে যথাযথভাবে প্রকাশের দাবি করেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। অথচ তাদের কোন অভিযোগ নেই। ভুঁইফোড় কেউ কোন অভিযোগ করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু এবং উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন বক্তৃতায় বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম নিজেকে বিভিন্ন সময়ে দলের নেতা বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী কোন সংগঠনের সদস্য নন।
প্রসঙ্গত, আগামি ১৬ জানুয়ারী দেশের পৌর নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে গাংনী পৌরসভায় ভোট গ্রহণ।