মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে উর্মী (২৩) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (৯ সেপ্টেম্বর) রাত দুইটার দিকে শশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা রকমের গুঞ্জন। উর্মী ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও গাংনী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ড বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া এর মেয়ে।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উর্মীর স্বামী গাংনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাশেমের ছেলে আশফাকুজ্জামান প্রিন্স গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার কথা পুলিশকে জানালেও স্থানীয়রা ও উর্মীর পিতা-মাতা এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ফলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছেন।
নেশাগ্রস্ত স্বামী প্রিন্সের অমানুষিক ও পাশবিক নির্যাতনের ফলে অকালে প্রাণ দিতে হলো এমনটি মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা ও আত্মীয়-স্বজনদের অনেকে। উর্মীর এ অকাল মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন তার পিতা-মাতা।
উর্মীর মাতা মায়া খাতুন ও পিতা গোলাম কিবরিয়া ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, মরদেহের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় উর্মীর পিতা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উর্মীর স্বামী প্রিন্স ও শ্বশুর আবুল হাশেমকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, উর্মীর সাথে গাংনী পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হাসেম এর ছেলের সাথে গত সাড়ে চার বছর আগে বিয়ে হয়। সংসার চলাকালীন সময়ে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। যার বয়স এক বছর। গতরাতে শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে গাংনী বাসস্ট্যান্ড ও মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।