মেহেরপুরের গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারী) ভোর ৬ টার দিকে উপজেলার ঢেপা গ্রামের পাঙ্গাশী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গামী হাসপাতাল ও পরে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহতরা হলো- মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের ঢেপা গ্রামের পাঙ্গাশীপাড়ার মৃত খোকা শেখের ছেলে রেজাউল হক (৯০), রেজাউল হকের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৮০), ও ছেলে যথাক্রমে হযরত আলী (৫৫), হুমায়ূন কবির (৪০), ওসমান গনি (৫০)) ও ওসমান গনির ছেলে স্বপন আলী (২৩)।
আহত রেজাউল হকের নাতনী রজনী খাতুন জানান, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে কলমী শাকের বীজ মারাই কে কেন্দ্র করে স্থানীয় মজিবর রহমান ও হুমায়ুন কবিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মজিবর রহমান হুমায়ুন কবিরকে এক ঘুষি মারলে বিষয়টি মারামারি পর্যায় গড়ায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গতকালই উভয়ের মধ্যে সমঝোতা হয়ে মীমাংসা হয়ে যায়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) ভোর ছয়টার দিকে রেজাউল হক তার দুই নাতি রেজওয়ান ও শাকিবুলকে নিয়ে স্থানীয় ফরজ আলীর চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। এ সময় মজিবর রহমানের নেতৃত্বে আলামিন, আসাদুল, নয়ন, ফরজ, হাসিবুল ও খুলনারা খাতুনসহ একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল রেজাউল ইসলামের উপর রামদা, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনা শুনে রেজাউল হকের স্ত্রী ও ছেলেরা ছুটে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মজিবর ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা।
আহতদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, ঢেপা গ্রামে মারামারি সংবাদ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।