দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশ রক্ষায় মেহেরপুরের গাংনীতে বৃক্ষ রোপনে কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “পতিত জমি আবাদ করি, কৃষি সমৃদ্ধ মেহেরপুর গড়ি”হে প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সহারবাটি ইউনিয়নের এবাদতখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পতিত জমি আবাদ করি, কৃষি সমৃদ্ধ মেহেরপুর গড়ি’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম এঁর সভাপতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত করোনাকালীন সময়েও আমাদের খাদ্যের কোন ঘাটতি হয়নি। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে আমারা এ ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারি সেক্ষেত্রে কৃষক-কৃষানীদের কৃষি উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যেতে হবে। বিশেষ করে পতিত জায়গা যাতে খালি না থাকে সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রেখে বিভিন্ন ফসলাদি রোপন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক (এলজিআরডি) গোলাম রব্বানী, গাংনী পৌর সভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া এদেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার কৃষকদের আবাদে বিভিন্ন প্রকার সার ভর্তুকি মূল্যে প্রদান করে আসছেন। আপনারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করেন। আপনার জীবন বাঁচাতে এবং পরিবেশ রক্ষায় বেশী বেশী গাছ লাগান, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, সাহারবাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইবাদতখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তৌহিদ মুর্শেদ অতুল, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল রানা প্রমুখ।
সভায় সাহারবাটি ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের পুরুষ-মহিলা সদস্য সদস্যাবৃন্দ, বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাধারন কৃষক-কৃষানীবৃন্দ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একইভাবে যথাক্রমে সন্ধ্যায় ষোলটাকা ইউপির সহড়াবাড়ীয়া গ্রামের রাইমনতলা(কড়ুইতলা) এবং পরে ধানখোলা ইউপি’র ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপনে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।