মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া কলােনীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহানাজ খাতুন (৪৭) ফেনিতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তবে শাহানাজের সাথে প্রাইভেটকারে চড়ে থাকা তার দু’মেয়ে ও জামাতা অক্ষত রয়েছেন। ৩ কন্যা সন্তানের জননী নিহত শাহানাজ গাংনী উপজেলার ধানখােলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও একই উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ভাের ৫টার দিকে ফেনির সদর উপজেলার হাইওয়েতে প্রাইভেটকার ও মালবাহি কারগাে গাড়ীর মুখােমুখি সংঘর্ষে এ নিহতের ঘটনা ঘটে।
ধানখােলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিহত শাহানাজের নিকট আত্মীয় আখেরুজ্জামান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শাহানাজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি প্রাইভেটকার গাড়িযােগে কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। তারা বৃহস্পতিবার ভাের ৫টার দিকে ফেনি সদর উপজেলার হাইওয়েতে পৌঁছালে, প্রাইভেটের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে একটি মালবাহি কারগাে গাড়ির সাথে মুখােমুখি সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে প্রাইভেট গাড়ীর সামনের সিটে বসে থাকা শিক্ষিকা শাহানাজ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় স্থানীয়রা প্রাইভেট গাড়ীর ভিতর থেকে শাহানাজের মেজাে মেয়ে স্বর্ণা (১২), ছােট মেয়ে মনি (৯) এবং বড় মেয়ের স্বামী গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা প্রকৌশলী এরশাদ আলীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শাহানাজ তার দু’মেয়ে ও জামাতার সাথে প্রাইভেটকারে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে শাহানাজ খাতুনের স্বামী ইউপি সচিব রফিকুল ইসলাম তার বড় মেয়ে রত্নাকে সাথে নিয়ে যাত্রীবাহি দূরপাল্লার বাসে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য যাচ্ছিলেন।