মেহেরপুরের গাংনীতে মথুরাপুর বিজিবি ক্যাম্পের দায়ের করা মাদক মামলার এজাহার নামীয় তিন ও চার নম্বর পলাতক আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। গত ৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে মথুরাপুর ক্যাম্পের দায়ের করা এজাহার নামীয় তিন ও চার নম্বর আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আসামি রজব আলী ও জোহাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারী তারিখে মেহেরপুরের গাংনীর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯২ পিস ফেনসিডিলসহ উপজেলার শহড়াতলা গ্রামের উজির আলীর ছেলে মিনারুল ইসলাম (৪০) নামের মাদক পাচারকারীকে মথুরাপুর ক্যাম্প বিজিবি’র জওয়ানরা আটক করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাচারের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার করমদি গ্রামের মরজেম মন্ডলের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), মথুরাপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে রজব আলী (৩৫) ও একই গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে জোহা (৩৬) নামের তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেয়া হয়। মামলা নং ২৪, তারিখঃ ৩১/০১/২০২৫ ইং।
বর্তমানে মাদক মামলার এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামি উপজেলার করমদি গ্রামের মরজেম মন্ডলের ছেলে আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
পলাতক থাকার পরও মামলার তিন দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারী ইং তারিখ দুপুরে করমদি বাজারে এজাহার নামীয় পলাতক ০২ নম্বর আসামি আলমগীর হোসেন তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে বিজিবি’র নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। আলমগীর হোসেন করমদি গোসাইডুবি গ্রামের মরজেম মন্ডলের ছেলে। মাদক মামলার এজাহার নামীয় দুই নম্বর পলাতক আসামি হয়েও করমদি বাজারে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে অথচ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে কেন গ্রেফতার করেন নাই এ বিষয়ে এলাকার মানুষের জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মথুরাপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান জানান, মাদকসহ মিনারুল ইসলাম নামের এক আসামিকে আটক করা হয়েছে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলমগীর হোসেনসহ আরো তিন পলাতক ব্যক্তির নামে মামলা দেয়া হয়েছে। মিনারুল ইসলামের দেয়া তথ্যের ভয়েস রেকর্ড ও ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার এলাকায় কোন মাদক কারবারি যাতে মাদক পাচার করতে না পারে সেজন্য আমি ও আমার জওয়ানরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। মাদক পাচার রোধে তিনি এলাকার সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।